রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ “প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এ প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও ঝালকাঠির রাজাপুরে ২য় দফায় পল্লীবিদ্যুতে আবেদন করে খাম্বা (বিদ্যুতের খুটি) পেলেও সাড়ে ৩ বছরেও ছেলের বসতঘরে পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন এক বৃদ্ধ পিতা। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ঐ বৃদ্ধ পিতা মো. নুরুল ইসলাম হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নুরুল ইসলাম উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মৃত মোজাহার উদ্দিন হাওলাদারের মেঝ ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ঐ বৃদ্ধ পিতা নুরুল ইসলাম তার ছেলের বসত ঘরের জন্য ছেলের নামে ২০১৭ সালের শেষের দিকে পল্লীবিদ্যুতের নতুন সংযোগ চেয়ে একটি আবেদন করেন। আবেদনটি পাশ হলে ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মিটারের টাকা জমা করেন (যার রশিদ নম্বর ৯৫৭৭৯)। আবেদনসহ সকল প্রক্রিয়া শেষে পল্লীবিদ্যুৎ মিটারসহ সংযোগ লাগাতে গিয়েও প্রতিপক্ষ একই বাড়ির আবুল কাশের জামালসহ তার স্ত্রী ছেলে-মেয়ের বাধার সংযোগ না লাগিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ জেলা প্রশাসক, সহকারি পুলিশ সুপার, বরাবর অভিযোগ দিয়েও বছরের পর বছর ঘুরেও অদৃশ্য কারণে কোন প্রতিকার না পেয়ে পুনরায় নতুন খুটির জন্য পল্লীবিদ্যুতে আবেদন করে বৃদ্ধর নিজের ঘরের পাশেই বিদ্যুতের খুটিঁ বসায়। ঐ নতুন খুটিতে ১৭/০৩/২০২১ ইং তারিখ পল্লীবিদ্যুতের লোকজন নতুন লাইন টানে। প্রতিপক্ষরা সেখানেও আবার বাধা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ২২/০৩/২০২১ ইং তারিখ ঐ খুটি থেকে বৃদ্ধর ছেলের ঘরে মিটার সংযোগ দিতে আসলে প্রতিপক্ষদের বাধার কারণে আবারও সংযোগ না দিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে মো. আবুল কাশেম জামাল জানায়, আমার জায়গার ওপর থেকে তাকে বিদ্যুৎ লাইন টানা হয়েছে তাই বাধা দিয়েছি। এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ রাজাপুর সাব জোনাল অফিসের এজিএম রাজন কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের দুই ভাইয়ের দ্বন্ধের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। দুই ভাইকেই ইউএনও স্যারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। স্যার যে সিদ্ধান্ত দিবে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত মো. মোক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply